ঢাকা: ভুল চিকিৎসায় গালফ এয়ারের পাইলট যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিক ইউসুফ তালা আলহেন্দির মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য হাজির হতে কো-পাইলট খলিল আব্দুর রাজ্জাককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মহুয়া মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি তদন্তের ক্ষেত্রে কো-পাইলটের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রায় সাত মাস ধরে ডাকার পরও তিনি পিবিআইর কাছে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেননি। তাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের নুরুজ্জামান এ বিষয়ে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদানের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ একই আদালতে একটি মামলা করেন পাইলটের বোন তালা আলহেন্দি। মামলায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার এন্ড ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের চিফ কনসাল্টেন্ট ওমর ফারুককে আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার আরজিতে বলা হয় গত ১৪ ডিসেম্বর ওই পাইলটের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি থানায় মামলা করতে যান তার বোন। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করায় তারা আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
পাইলট ইউসুফের পরিবারের অভিযোগ, গত ১৪ ডিসেম্বর ইউসুফ আলহেন্দি ঢাকার লা মেরিডিয়েন হোটেলে ছিলেন। খুব সকালে তার গালফ এয়ারের ফ্লাইট পরিচালনার কথা ছিল। রাত পৌনে তিনটায় উঠে তিনি ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হন। এরপর হজরত শাহজালাল আআন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং পড়ে যান। তখন তার কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। বিমানবন্দরে তার প্রথম কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। তখন তিনি পাঁচ মিনিট কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) পেয়েছেন। ক্রমশ তার রক্তচাপের অবনতি হতে থাকে। এরপর ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা চিকিৎসক ওমর ফারুক ও কর্তব্যরত নার্সরা তাকে ৫ ঘণ্টা কোনো চিকিৎসা দেয়নি। এরপর দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে পাইলট ইউসুফ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
কেআই/এসএএইচ