কসোভোয় সম্প্রতি পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনার পর কসোভোয় প্রবল হয়েছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় দেশটিতে সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, কসোভোয় ৬০০ সেনা পাঠাবে ন্যাটো।
দেশটিতে উত্তেজনা দেখা দেয় মূলত মাসকয়েক আগে স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তা ছাড়া ন্যাটো সেনাদের ওপর হামলা; কসোভো-সার্বিয়া সীমান্তে সার্বিয়া সেনা মোতায়েনের কারণেই উত্তেজনা প্রশমিত হচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, কসোভোয় এর আগেও ন্যাটোর সেনাদের ওপর হামলা হয়। সে সময় কিছু রিজার্ভ ফোর্স দেশটিতে পাঠায় ন্যাটো। এবার উত্তেজনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আরও সেনা পাঠাবে সামরিক সংগঠনটি।
এদিকে সীমান্তে সার্বিয়ার সেনা মোতায়েনের ঘটনা ইউক্রেনে আক্রমণের আগে রাশিয়ার আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছে কসোভোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সার্বিয়ার প্রার্থী সদস্যপদ স্থগিত করে বেলগ্রেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও আহ্বান জানিয়েছে কসোভো।
সোমবার (২ অক্টোবর) কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনিকা গারবাল্লা স্কোয়ার্জ এসব কথা জানান। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে সীমান্তে এত সেনা দেখা যায়নি। তারা অস্ত্রও মোতায়েন করেছে; যার মধ্যে ট্যাংকও রয়েছে। জানি না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে; তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের মধ্যে বাজে অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে। সার্বিয়ার আচরণ এখন অনেকটাই রাশিয়ার মতো। তাই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া খুব জরুরি।
কসোভো অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুচিক। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে তা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। সার্বিয়া এখনও কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় না।
গত শুক্রবার কসোভো সীমান্তে সার্বিয়ার সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ওপর নজর রাখছে বিলে হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই কসোভোয় অতিরিক্ত শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুমতি দিতে যাচ্ছে বলে জানায় ন্যাটো।
সম্প্রতি সার্বিয়ান অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলায় কসোভোর এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। মৃত্যু হয় সার্বিয়ান তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর। এরপর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
উল্লেখ্য, আগে সার্বিয়ার অংশ ছিল কসোভো। ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বিয়া থেকে পৃথক হয় কসোভো। তবে কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে সার্বিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৩
এমজে