হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে পা রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সংক্ষিপ্ত সফরের অংশ হিসেবে তিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আব্বাস পশ্চিম তীর-ভিত্তিক নেতা এবং তিনি গাজা উপত্যকায় হামাসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
গেল শনিবার হামাস ইসরায়েল হামলা শুরু করে। জবাবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা চালায়। দুই পক্ষের এই সংঘাত চলছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ জনে। আর ইসরায়েলে নিহত ১ হাজার ৩০০।
গাজায় এখন ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলি মন্ত্রীর ঘোষণা হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে না।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, উপত্যকাটি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে একমাত্র যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ছিল, সেটি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
কী হতে পারে ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল সফরে
আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় থাকতে পারে। এর একটি হলো, ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করতে পারেন।
হামাসের কাছে যারা জিম্মি, যার মধ্যে কয়েকজন আমেরিকানও রয়েছেন, তাদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
গাজায় স্থলহামলা চালানোর আগে সেখান থেকে বেসামরিকদের বের হয়ে যাওয়ার নিরাপদ পথ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ইসরায়েল ও মিশরের সঙ্গে আগাম কথাবার্তা বলতে পারেন। ৫০০-৬০০ ফিলিস্তিনি-আমেরিকান রয়েছেন, যারা গাজার বাসিন্দা।
সংঘাতে যুক্ত না হতে ব্লিঙ্কেন ইরান ও ইরান-সমর্থিত যেকোনো গোষ্ঠীকে প্রতিরোধের বার্তা দিতে পারেন।
ইসরায়েলের পর ব্লিঙ্কেন জর্ডানের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তিনি রাজা আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
আরএইচ