ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলকে হুমকি ইরানের- ‘সময় শেষ হয়ে গেছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
ইসরায়েলকে হুমকি ইরানের- ‘সময় শেষ হয়ে গেছে’

‘সময় শেষ হয়ে গেছে’ বলে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া অধ্যুষিত দেশ ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এ হুমকি দিয়েছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। এরপরই ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়া হয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে সময় শেষ হয়ে গেছে বাক্যটি উচ্চারণ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একটি পোস্ট দিয়েছেন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তিনি লিখেছেন, আল-আহলি হাসপাতালে ফিলিস্তিনের নিরীহ শিশু-নারীদের ওপর চরম নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরায়েল। ওই হাসপাতালে এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী-শিশু ছিল। তাদের ওপর বোমা ফেলে হত্যার মাধ্যমে ভয়ংকর অপরাধ করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ভুয়া এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্ব মানবতার ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে। তারা জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস এবং এর হত্যা যন্ত্রের চেয়েও ঘৃণ্য।

গাজায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার ঘটনায় দখলদার ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্যও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তার মতে, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্যদের উচিত ইসরায়েলের ওপর তেল ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

একই সঙ্গে গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে মারাত্মক হামলার জন্য সমস্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রী আমিরাবদুল্লাহিয়ানের এ আহ্বানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত কর্মকাণ্ডগুলোকে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে নথিভুক্ত করতে ইসলামিক আইনজীবীদের একটি দল গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। এতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সেখানকার প্রায় ৫০০ জন নিহত হন। ফিলিস্তিনিদের মতে, গত ৭ অক্টোবর সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ হামলার মধ্যে এটি একটি।

হামলার পর সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা জুড়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয়। জর্ডানের পাশাপাশি তুরস্কের ইসরায়েলি দূতাবাস ও লেবাননে মার্কিন দূতাবাসের কাছেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান, মরক্কো, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকের লোকেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করতে বিক্ষোভে নামেন।  

হাসপাতালে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও দাতব্য সংস্থাগুলোও। পশ্চিমা দেশের অনেক নেতাও নিন্দা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।