ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডা। ওই কূটনীতিকদের পরিবারের ৪২ জন সদস্যকেও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানি জোলি সাংবাদিক বলেন, ভারত সরকার ২০ অক্টোবরের মধ্যে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে বলেছিল। আর তার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান যে ভাবে কূটনীতিকদের সরানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও প্রভাব পড়তে পারে। নয়াদিল্লি যে ভাবে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে, তা শুধু নজিরবিহীনই নয়, আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। খবর বিবিসি।
জোলি জানান বাকি ২১ জন কূটনীতিক এখনও ভারতে রয়েছেন, তবে এই প্রত্যাহারের ফলে কানাডাকে কর্মীদের স্বল্পতার কারণে ভারতে তাদের পরিষেবা সীমিত করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই এবং চন্ডিগড়ে জনে জনে সেবা প্রাদান বন্ধ রাখতে হবে। কখন এই পরিষেবাগুলো আবার চালু হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
তবে দিল্লিতে কানাডার হাই কমিশনের বাইরে এখনও পরিষেবাগুলো পাওয়া যাবে এবং তৃতীয় পক্ষের দ্বারা পরিচালিত অ্যাপ্লিকেশন কেন্দ্রগুলোও খোলা থাকবে।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, কর্মী হ্রাসের ফলে অন্তত স্বল্পমেয়াদে অভিবাসন আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে স্লথ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, কানাডীয় শিখ নেতা নিজ্জার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন চলছে। ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার তাগিদ দিয়ে ভারতে থাকা কানাডার কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে কানাডাকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমএম