অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ মুসল্লিদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। গত কয়েক মাসের মধ্যে এবারই প্রথমবার মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হলো।
একইসঙ্গে মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের প্রবেশও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। পবিত্র এই স্থানের দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।
মুসল্লিদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হলেও সকালে চত্বরটিতে ইহুদিদের প্রবেশ করতে দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা এই খবর জানিয়েছে।
ওয়াকফ বিভাগ বলছে, পুলিশ আকস্মিকভাবে এবং আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ নিয়ে প্রাচীর ঘেরা পবিত্র প্রাঙ্গণের দিকে যাওয়ার সব গেট বন্ধ করে দেয় এবং সব বয়সের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
এটি আরও বলছে, দখলদার কর্তৃপক্ষ সকাল থেকেই মসজিদে প্রবেশের কড়াকড়ি আরোপ করে, যেখানে শুধুমাত্র বয়স্কদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্টে আল আকসা মসজিদে সব বয়সের মুসল্লিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত কয়েক মাসে এমনটি হয়নি।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে হামাসশাসিত গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলা এখনও চলছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরে হামলা ও গ্রেপ্তার বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
মক্কা ও মদিনার পর জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছর ফিলিস্তিন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলিম আসেন এই মসজিদ প্রাঙ্গণে।
মসজিদটিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। গত কয়েক বছর ধরে আল আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
আল আকসা চত্বরে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা। যার কোনটি মুসলমানদের জন্য, কোনটি ইহুদিদের জন্য আবার কোনটি খ্রিস্টানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সবগুলো স্থাপনার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তিনটি ধর্মের ইতিহাস।
সূত্র: আল জাজিরা, ওয়াফা ও বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
আরএইচ