ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ানের মতে, ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের কারণে গাজা যুদ্ধের পরিধির সম্প্রসারণ ‘অনিবার্য’।
শুক্রবার ইরানের প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরআবদুল্লাহিয়ান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে ফোনালাপে এমনটি বলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে যুদ্ধের পরিধি সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
এ সংঘাতের অনিবার্য সম্প্রসারণ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে আমিরআবদুল্লাহিয়ান লেখেন, তেল আবিবের অপরাধ অব্যাহত রাখার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
তিনি লেখেন, নেতানিয়াহু ভুয়া ইসরায়েলি শাসনের ভিত্তিকে আরও নড়বড়ে করে দিয়েছেন এবং গাজায় নারী ও শিশুদের গণহত্যায় ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধী, সহিংস ও আগ্রাসী চেহারা প্রকাশ করেছেন। নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনের।
গাজা শাসনের দায়িত্বে থাকা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এরপর থেকেই আন্তঃসীমান্ত সংঘাত এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মিত্র লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ মধ্যে সীমান্তে বেশ কয়েকবার হামলা-হামলার ঘটনা ঘটেছে। হিজবুল্লাহর ৬০ জনের বেশি যোদ্ধা ও ১০ বেসামরিকের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছেন লেবানিজ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। এ সংঘাতে সাত ইসরায়েলি সৈন্য ও এক বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জোটের সৈন্যরা ইরান সমর্থিত বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। ৪৫ মার্কিন সৈন্য আহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর থেকে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের ওপর বারংবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হয় ভূপাতিত হয়েছে বা লক্ষ্য পর্যন্ত যেতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র গেল সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক-সক্ষম সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিশেষ করে ইরানের প্রতি শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
আরএইচ