গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে। দুই পক্ষের বহু মানুষ জিম্মিদশা থেকে মুক্তিও পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ফিলিস্তিন শাখার (পিআরসিএস) বরাত দিয়ে শনিবার (২৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর তথ্য দিয়েছে পিআরসিএস। সংগঠনটি বলেছে, গাজায় মোট ১৯৬টি ট্রাক ত্রাণ ও সহায়তা গ্রহণ করেছে পিআরসিএস। এসব ট্রাকের ৮টিতে ওষুধ ও মেডিকেল পণ্য, চারটি ট্রাকে হাসপাতাল শয্যা ও বাকিগুলোয় খাদ্য, পানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী রয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় গত দেড় মাসে এই প্রথম একদিনে এত বেশি সংখ্যক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করল। চুক্তি অনুযায়ী- গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৪ ট্রাক জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাস ঢোকার অনুমতি পাবে। এছাড়া মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ২০০ ট্রাক ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী আনা হবে।
কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হামাস ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এ মুক্তির পেছনে সংগঠনটির শর্ত ছিল ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দিতে হবে। শর্ত মেনে ইসরায়েল ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।
এদিকে, দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের তালিকা ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন হামাস যে কয়জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তার তালিকা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে, কতজনকে হামাস মুক্তি দেবে সে ব্যাপারে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনো তথ্য জানায়নি।
হামাস এখন পর্যন্ত যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ১২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, বাকিরা ইসরায়েলের।
অন্যদিকে যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ২৪ নারী ও ১৫ শিশু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
এমজে