নেপালে চলতি বছরের শুরুতে যে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ ৭২ জন নিহত হন, তাতে পাইলটরা ভুল করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন (পাওয়ার কাট) করে দিয়েছিলেন।
দেশটির সরকার নিযুক্ত তদন্তকারীদের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ইয়েতি ইয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে উড়ে পর্যটন শহর পোখারায় যাচ্ছিল। এটি ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
বেসরকারি মালিকানাধীন উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সেতি নদীর গিরিখাতে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন নেপালের কয়েকশ সেনা।
অনুসন্ধান প্যানেলের সদস্য বৈমানিক প্রকৌশলী দীপক প্রসাদ বাস্তোলা রয়টার্সকে বলেন, গতিবেগের কারণে, বিমানটি মাটিতে আঘাত করার আগে ৪৯ সেকেন্ড পর্যন্ত ভেসেছিল।
যথাযথ প্রযুক্তিগত এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের অভাব, উচ্চ কাজের চাপ এবং ধকল ইত্যাদি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তদন্ত প্রতিবেদনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকজন তদন্তে যুক্ত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দিব্য ধাকাল গেল জানুয়ারিতে বিবিসিকে বলেছিলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি থেকে অনেক ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
গত এক দশক ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপত্তার কারণে নেপালের এয়ারলাইন্সকে তাদের আকাশসীমা থেকে নিষিদ্ধ করেছে।
বিমান দুর্ঘটনা নেপালে অপরিচিত কিছু নয়। দুর্গম রানওয়ে এবং আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গেল মে মাসে তারা এয়ার ফ্লাইট ১৯৭ পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ২২ যাত্রী ও ক্রু নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
আরএইচ