ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের বহনকারী রাশিয়ার সেই প্লেনটির কেউই বেঁচে নেই। রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রুশ সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের বহনকারী প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় এর সব আরোহী নিহত হয়েছেন।
রুশ সামরিক বাহিনীর আইএল-৭৬ মডেলের একটি পরিবহন প্লেন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) মস্কো সময় বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম বেলগোরোদ অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। প্লেনটিতে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি, ছয়জন ক্রু এবং তিনজন এসকর্ট ছিলেন।
ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বিনিময়ের লক্ষ্যে যুদ্ধবন্দিদের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্লেনটি কোরোচানস্কি জেলায় বিধ্বস্ত হয়ে একটি জনবহুল এলাকার কাছে মাঠের মধ্যে পড়েছিল। ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখে জরুরি পরিষেবাগুলো নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্লেন বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তও শুরু হয়েছে।
কিয়েভের কিছু সূত্র বলছে, আইওয়ান-৭৬ নামে প্লেনটি ইউক্রেনীয় বাহিনী ভূপাতিত করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের কার্যালয় বলছে, ওই উড়োজাহাজে রাশিয়ার এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য মিসাইল নেওয়া হচ্ছিল। তবে তারা যুদ্ধবন্দিদের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি।
বেলগোরোদের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, রুশ ওই প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। এক মিনিটের ব্যবধানে বিস্ফোরণগুলো হয়।
রাশিয়ার ডুমা প্রতিরক্ষা কমিটি এ ঘটনাটিকে ইচ্ছাকৃত হামলা বলে দাবি করছে। কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ চেম্বারের এক সভায় এ দাবি করে বলেন, ইউক্রেন সরকার এ যুদ্ধবন্দি বিনিময় সম্পর্কে জানত। তারপরও প্লেনটিকে লক্ষ্য করে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্যাট্রিয়ট কমপ্লেক্স বা জার্মান আইআরআইএসটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোঁড়া হয়েছে।
আইওয়ান-৭৬ নামে প্লেনটি ছাড়াও আরও একটি বিমানে যুদ্ধবন্দিদের বেলগোরোদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দুর্ঘটনাটির বিষয়ে ক্রেমলিন (প্রেসিডেন্ট ভবন) অবগত। তবে তিনিও বিস্তারিত কিছু আর জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
এমজে