ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর রাজনীতিই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীর খান তারিন। দলীয় পদ থেকেও সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তারিন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক সময়কার শীর্ষ নেতা ছিলেন। ইমরান খানের কাছের এই নেতা পরে ইমরান বিরোধী হয়ে ওঠেন। বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ইমরান খানকে উৎখাত করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারিন। মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তাকে সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বিরোধীদেরও তিনি ওই পোস্টে অভিনন্দন জানান।
তারিন পোস্টে লিখেছেন- ‘এ নির্বাচনে যারা আমাকে সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতিপক্ষকেও অভিনন্দন জানাতে চাই। পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে। তাই, আমি আইপিপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
পোস্টে তিনি পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তাদের তাদের মঙ্গল কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার দেশের সেবা চালিয়ে যাব। ’
আইপিপির এ নেতা পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এনএ-১৪৯ মুলতান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেখানে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির ডোগারের কাছে পরাজিত হন। এছাড়া এনএ-১৫৫ লোধরানে তিনি পিএমএল-এন প্রার্থী সিদ্দিক খান বালোচের কাছে হেরেছেন।
তারিনের এ ঘোষণায় আইপিপি সভাপতি আব্দুল আলিম খান দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারিন সবসময় আইপিপি ও তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকবেন। যেকোনো সরকারে তারিনের উপস্থিতি সেই সরকারের জন্য সম্মানের বিষয়। একজন ছোট ভাই ও আইপিপি সভাপতি হিসাবে আমি তাকে এবং তার জনহিতকর কর্মকাণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ’
জাহাঙ্গীর খান তারিনের জন্ম ১৯৫৩ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায়। পরে তার পরিবার পাকিস্তানে স্থায়ী হয়। তার মা-বাবা দুজনই পকিস্তানের পশতুন গোষ্ঠীর ‘তারিন’ উপজাতির মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
এমজে