চলতি সপ্তাহে ইরানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনে গোপনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এমনটিই বলা হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে।
পশ্চিমা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করেছে, তবে এই সপ্তাহে জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা গোপন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলেছে এবং একটি নতুন সীমানা উন্মোচন করেছে বলে মনে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো পৃথক একটি ঘটনাকে ইসরায়েলি নাশকতার জন্য দায়ী করেছে– বৃহস্পতিবার তেহরানের উপকণ্ঠে একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে, যা স্থানীয় কর্মকর্তারা দুর্ঘটনা বলে রায় দিয়েছেন।
দুটি গ্যাস পাইপলাইন এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ ধরে চলে এবং প্রায় ২ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (৫৭ মিলিয়ন ঘনমিটার) বহন করে। বিস্ফোরণের ফলে ইরানের দৈনিক প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে স্থানীয় সরবরাহে বিভ্রাট দেখা দেয়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান বলেছে যে ক্ষয়ক্ষতি সামান্য এবং বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে মেরামত শেষ হয়েছে, তবে ইসরায়েল কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে এই হামলা একটি ‘কঠোর সতর্কতা’ ছিল। এক ইরানি কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, পাইপলাইনগুলো দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ডে অবস্থিত। এছাড়া নিয়মিত টহল দেওয়া হয়। নাশকতা চালানোর জন্য সিস্টেম সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের প্রয়োজন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলায় সিরিয়ায় ইরানি কমান্ডাররা নিহত হয়েছেন এবং ইরাক ও সিরিয়ায় ‘প্রতিরোধের অক্ষশক্তি’ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইয়েমেনের হুথিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিরোধ অক্ষ একটি অনানুষ্ঠানিক জোট যা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ও ইসরায়েলি প্রভাবের বিরোধিতা করে।
যদিও ইরান প্রতিরোধের অক্ষশক্তিকে সমর্থন করে, তারা ৭ অক্টোবরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে- যখন হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করে ১২শ’ জনকে হত্যা করেছিল এবং আরও ২৪০ জনকে জিম্মি করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক