ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মালদ্বীপ সফরে চীনের জাহাজ, ভারত মহাসাগর ঘিরে নানা হিসাব-নিকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
মালদ্বীপ সফরে চীনের জাহাজ, ভারত মহাসাগর ঘিরে নানা হিসাব-নিকাশ

চীনের একটি গবেষণা জাহাজ বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে পৌঁছেছে। গ্লোবাল শিপ-ট্র্যাকিং উপাত্তে এমনটি দেখা গেছে।

তিন মাস আগে একই ধরনের একটি জাহাজ ভারত মহাসাগরে এসেছিল। আবারো চীনা জাহাজের আগমন নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।  

জানুয়ারিতে মার্কিন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছিল, চীন এ অঞ্চলে তার নৌবাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্যে এ মিশন থেকে পাওয়া তথ্য কাজে লাগাতে পারে। তবে বেইজিং এ দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল। খবর রয়টার্সের।

জিয়াং ইয়াং হং ০৩- নামে জাহাজটির মালিক একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এটি চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে থাকে।

‘মেরিন ট্রাফিক’–এর তথ্য অনুযায়ী, চীনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ছেড়ে আসার এক মাসের বেশি সময় পর জাহাজটি এখন মালদ্বীপ উপকূলে নোঙর করার অপেক্ষায় রয়েছে।  

চীনের এ বেসামরিক জাহাজ তিন সপ্তাহের বেশি সময় ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঠিক বাইরে সামুদ্রিক জলসীমায় জরিপে কাটিয়েছে বলে জাহাজ-ট্র্যাকিং উপাত্তে দেখা গেছে।  

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাহাজটির গবেষণা কার্যক্রম একান্তই বৈজ্ঞানিক বোঝাপড়ার সুবিধায় শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত মহাসাগরে চীনের গবেষণা জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে আওয়াজ তুলেছে নয়াদিল্লি, যদিও এসব জাহাজ সামরিক বাহিনীর নয়।  

ভারতীয় এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন, এসব জাহাজের দুই ধরনের ব্যবহার রয়েছে। তাদের সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত বেসামরিক ও সামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।  

জিয়াং ইয়াং হং ০৩ বেশ কয়েকবার ভারত মহাসাগরে আসা-যাওয়া করেছে।  

২০২১ সালে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ায় সুন্দা প্রণালী দিয়ে যাত্রা করেছিল। বিষয়টিতে ইন্দোনেশিয়ান কর্তৃপক্ষগুলোকে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা সেসময় বলেছিল, জাহাজটি তিনবার এর ট্র্যাকিং ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিল।

চীনা গবেষণা জাহাজ শ্রীলঙ্কার কাছেও থেমেছিল। ২০২২ সালে ইউয়ান ওয়াং ৫ নামে একটি সামরিক জাহাজ কলম্বোতে থামায় উদ্বেগ জানায় ভারত। সবশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবরে চীনা একটি গবেষণা জাহাজ শ্রীলঙ্কায় নোঙর করে। সেবারও ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে।  

তবে জানুয়ারিতে, দ্বীপ দেশটি বিদেশি গবেষণা জাহাজের ওপর বছরব্যাপী এক স্থগিতাদেশ আরোপ করে, কার্যকরভাবে চীনকে বন্দরে জাহাজ ভেড়াতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

গেল জানুয়ারি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু চীন সফর করে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত হয়। এরপরই চীনা জাহাজটি মালদ্বীপে এলো।

মালদ্বীপ বলছে, চীনের জাহাজ তাদের জলসীমায় কোনো ধরনের গবেষণা চালাবে না। এটি শুধুমাত্র কর্মী পরিবর্তন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুনঃসরবরাহের জন্যই থামছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।