ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওই যুদ্ধের দুই বছর পূর্তির ঠিক দুইদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
রকেট উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্যের মতো যুদ্ধাস্ত্র ও অস্ত্রাগার সরবরাহকারীরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন।
এ নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে রাশিয়ার রাজস্বের মূল উৎসগুলো লক্ষ্য করে। যেসব উৎস থেকে পুতিন অবৈধ যুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে থাকেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, পুতিন ভেবেছিলেন রাশিয়ার অর্থনীতি ইউক্রেনের চেয়ে বড় হওয়ায় তিনি দ্রুত যুদ্ধে বিজয় লাভ করবেন। তবে পুতিনের এটাও ভাবা উচিত ছিল ইউক্রেনের বন্ধুদের অর্থনীতি রাশিয়ার চেয়ে ২৫ গুণ বড়। দুই বছর পরও আমরা ইউক্রেনের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত বুধবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোটের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদন দেয়।
ইইউর প্যাকেজে অস্ত্র সংগ্রহে মস্কোকে সহায়তা বা ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ২০০ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি রয়েছে।
যুক্তরাজ্য-ঘোষিত প্যাকেজে রাশিয়ার গোলাবারুদ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে নিশানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধাতু, হীরা ও জ্বালানিশিল্পে রাজস্বের উত্সগুলোকে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪
জেএইচ