ইউরোপের পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে ডেনমার্ক তাদের সেনাবাহিনীতে পুরুষদের পাশাপাশি এই প্রথম নারীদেরও নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। খবর আল জাজিরার।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসেন বলেন, সামরিক বাহিনীতে তরুণদের সংখ্যা বাড়াতেই সংশোধিত নীতিটি করা হয়েছে।
দেশটিতে এখন সামরিক বাহিনীতে চার মাস কাজ করতে হয়। তা বেড়ে ১১ মাস হচ্ছে। ২০২৬ সাল থেকে নারীদের নিয়োগ প্রবর্তন করার পরিকল্পনা রয়েছে ডেনমার্ক সরকারের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুনরায় সশস্ত্র হচ্ছি, এর মানে এই নয় যে আমরা যুদ্ধ চাই, ধ্বংস চাই, ভোগান্তি চাই। পুনরায় সশস্ত্র হওয়ার কারণ হলো আমরা যুদ্ধ এড়াতে চাই।
ফ্রেডেরিকসেন বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পরোক্ষভাবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
ডেনমার্ক ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। দেশটি আগামী পাঁচ বছরে সামরিক বাজেট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার করার পরিকল্পনা করেছে।
ফ্রেডেরিকসেন বলেন, প্রতিরক্ষা ব্যয় এ বছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।
৯০ দশকের গোড়ার দিকে স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর দেশটি সামরিক সক্ষমতা কমিয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ দেশটিকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ডেনমার্কে বর্তমানে ৯ হাজার পেশাদার সৈন্য রয়েছে। এর সঙ্গে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ হাজার ৭০০ জনের প্রশিক্ষণ চলছে।
বিবিসি বলছে, নারীদের নিয়োগ কার্যকর হলে ডেনমার্ক হবে সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা তৃতীয় ইউরোপীয় দেশ। বাকি দেশ দুটি হলো নরওয়ে ও সুইডেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
আরএইচ