গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সময় পাকিস্তানে এক্স প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়েছিল জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কায়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনটি বলেছে।
এক্সের আগের নাম টুইটার। গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন বলে জানান।
প্ল্যাটফর্মটি এখনো ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। সরকারি কর্মকর্তারা এখনো স্বীকার করছেন না, এতে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কি না।
গেল নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তির পর কারাবন্দি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল বিক্ষোভের ডাক দেয়।
সেই সময়ে ইন্টারনেট ওয়াচডগ গোষ্ঠীগুলো এক্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানায়। তবে সরকার ও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ) উভয়ই এ নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।
বুধবার আদালতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া লিখিত প্রতিবেদনে এক্স বন্ধের কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানে টুইটার বা এক্স ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক্স বন্ধ করা নিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এক রিটের বিপরীতে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক্স বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাকিস্তানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর গোপন প্রতিবেদন বিবেচনার পর।
আরে রিটে সিন্ধ হাইকোর্ট বুধবার সরকারকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্ল্যাটফর্মটি সচল করার নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
আরএইচ