কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে একটি শহরের কাছে বাঁধের পার ভেঙে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পুলিশ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত দেশটিতে বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাঁধ ভাঙার ঘটনাটি ঘটে নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউর কাছে রোববার রাতের শেষের দিকে। পাহাড়ের নিচের দিকে পানি প্রবাহিত হয়ে সব কিছু গ্রাস করে। মারাত্মক বন্যায় একটি রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। এতে সেখানকার গাছ উপড়ে গেছে, বাড়িঘর ও যানবাহন ভেসে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেনিয়ায় এল নিনোর আবহাওয়ার ধরণ দেখা যাচ্ছে।
নাকুরু কাউন্টি পুলিশ সদর দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ৪৫ জনের মরদেহ পাওয়ার কথাটি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জরুরি প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বাসিন্দা স্টিফেন এনজিহিয়া এনজোরোজ বলেছেন, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে ১২ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেকের জন্য অনেক দেরি হয়ে যায়। আমরা গাছের কাছে রাখা কিছু মৃতদেহ সংগ্রহ করেছি এবং আমরা জানি না কতজন মাটির নিচে আছে।
কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিথুরে কিনডিকি বলেছেন, সরকার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের এখতিয়ারের সব সরকারি ও বেসরকারি বাঁধ ও জলাশয়গুলো পরিদর্শন করতে।
মার্চ থেকে কেনিয়ায় ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এল নিনো হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট জলবায়ু প্যাটার্ন, যা সাধারণত বিশ্বব্যাপী তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। এতে বিশ্বের কিছু অংশে খরা এবং অন্যত্র ভারি বৃষ্টিপাত হয়। গত বছরের শেষের দিকে কেনিয়া, সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় তিন শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন মার্চ মাসে বলেছে, এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা পাঁচটি শক্তিশালী এল নিনোর মধ্যে সর্বশেষটিও একটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এমজে