দক্ষিণ ব্রাজিলের রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি চলছে। এই বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে।
এছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।
সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যটির ইতিহাসে ১৯৪১ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। রোববার (৫ মে) ১০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা আগের দিন প্রায় ৭০ জন ছিল।
এদিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। একটি বাঁধ আংশিক ভেঙে গেছে। ফলে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ।
বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। তাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শহরগুলো। এদিকে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন।
বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে ও খাবার এবং পানীয় সরবরাহের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজ্যের রাজধানী পোর্তো আলেগ্রেতে একজন উদ্ধারকর্মী ফ্যাবিয়ানো সালদানহা বলেছিলেন, জেট স্কি ব্যবহার করে আমি ও তিন বন্ধু শুক্রবার থেকে প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করেছি। একটি রাস্তায় প্রবেশ করার সময় আমরা কেবল একটি শব্দও শুনতে পেয়েছি - ‘সাহায্য’,' ‘সাহায্য’।
কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে এটিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট।
ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা জানিয়েছে, পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি এতো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানির স্তর অনেক বেড়েছে। কোথাও কোথাও দ্বিতল বাড়িও ডুবে গেছে।
চলতি বছরের বিগত চার মাসে অন্তত চার দফা বন্যা হয়েছে ব্রাজিল। আর গত বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে বছরের শেষ নাগাদ দেশটিতে একাধিক বন্যায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মে ০৬,২০২৪
এসএএইচ