ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অস্বাভাবিক অবতরণ (হার্ড ল্যান্ডিং) করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে জোলফার কাছে ঘটনাটি ঘটে।
আল জাজিরা জানায়, একদিন আগেই রাইসি পার্শ্ববর্তী আজারবাইজানে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। বাকি দুটি নিরাপদে ফিরতে পেরেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান, ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম রাইসির সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানিমন্ত্রী আলি আকবর মেহরাবিয়ান এবং গৃহায়ন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বাকি দুটি হেলিকপ্টারে ছিলেন। সে দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে ফিরে এসেছে।
হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা অন্যরা ইমার্জেন্সি কল করতে সমর্থ হন বলে জানায় বার্তাসংস্থা তাসনিম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, বেশ কয়েক উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কুয়াশা ও বাজে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
তিনি নিশ্চিত করেন, হেলিকপ্টারটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। এর বেশি কিছু তিনি জানাননি। তবে তিনি জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
সরকারি বার্তা ওয়েবসাইট ইরনা জানায়, প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটি সংরক্ষিত দিজমার এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দিজমার বন ও পাহাড়ে ঘেরা।
কোন ধরনের হেলিকপ্টার প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের বহন করছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার পরিচালনা করে থাকে। তবে কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা দেশটির জন্য নতুন এয়ারক্র্যাফট কেনা এবং যন্ত্রাংশ পাওয়া কঠিন করে তুলেছে।
ইরানে এখনো ব্যবহৃত সামরিক অনেক এয়ারক্র্যাফটই ১৯৭৯ সালের বিপ্লবেরও আগের।
রোববার রাজধানী তেহরান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সারদার বলেন, ইরানে হেলিকপ্টার, প্লেন যেগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলো বেশ পুরোনো।
এ কারণে ইরানে এ ধরেনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
আরএইচ