৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পুড়ছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থান। এরই মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে গরমের কারণে।
আনন্দবাজার পত্রিকা রোববার (২৬ মে) জানিয়েছে, রাজস্থানের ফালোড়ি জেলায় শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ ডিগ্রি যোগ হলে ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে ফেলবে এই জেলা। শুধু ফালোড়িই নয়, রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ১৩টি জেলায় এরই মধ্যে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই রাজ্যে গরমের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
আবহাওয়া ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ওই বছরে এই জেলাতেই তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৫১ ডিগ্রি। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ১ জুন চুরুতে তাপমাত্রা ছিল ৫০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৫৬ সালের ১০ এপ্রিল আলোয়ারের তাপমাত্রা ছিল ৫০ দশমিক ৬ ডিগ্রি। অন্যদিকে ১৯৯৫ সালের ৩ জুন ঢোলপুরের তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৩৪ সালের ১৪ জুন শ্রীগঙ্গানগরের তাপমাত্রাও ৫০ ছুঁয়েছিল।
আবহাওয়া ভবন জানিয়েছে, আলোয়ার, বরণ, কোটা, বারমের, বিকানের, জালোর, চুরু, হনুমানগড়, জোধপুর, পালি, নাগৌর, শ্রীগঙ্গানগর ও জয়সলমেরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার ফালোড়ির পরই ছিল জয়সলমের ও বারমের। এ দুই জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুরু ও বিকানেরে ছিল ৪৭ ডিগ্রি।
এ ছাড়া মধ্য প্রদেশেও বেশ কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে বলেও গণমাধ্যমটি জানিয়েছে। খরগোন, রতলম, রাজগড় ও খান্ডোয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। দিল্লিতে শনিবার ছিল ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর-পূর্ব ভারতের কোনো কোনো রাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। উত্তর ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও তীব্র তাপপ্রবাহের চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী তিন দিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এমজে