দক্ষিণ জার্মানির ছোট শহর নর্ডেনডর্ফে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। শহরটিতে দুই হাজার ছয়শ মানুষের বাস।
ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, আমরা ৪০ হাজার বালির বস্তা দিয়ে ২৪০ মিটার বাঁধ বানাবার চেষ্টা করেছি। কিছু স্বেচ্ছাসেবক গত ৪০ ঘণ্টা ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। দুই চোখের পাতা এক করেননি। কিন্তু নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা একের পর এক বালির বস্তা ফেলছিলেন। তাদের কাজের দেখভাল করছিলেন মেয়র। তিনি ম্লান হেসে বলেন, স্কুল সোমবার বন্ধ থাকবে।
কিন্তু তিনি হতাশার সঙ্গে বলেন, নতুন খেলার মাঠের কাছে বাঁধ ভেঙে গেছে। আমাদের লড়াই সেখানে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন করে সবকিছু ঠিক করতে অনেক অর্থ লাগবে। পুরো পরিকাঠামো ভেসে গেছে। স্কুল ও হোস্টেলের নির্গমন ব্যবস্থা কাজ করছে না। শিক্ষার্থীরা টয়লেটে যেতে পারছে না।
নর্ডেনডর্ফের বাকি এলাকার অবস্থাও ভালো নয়। ১২ গ্রাম থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। পুরো মাসে যা বৃষ্টিপাত হয়, তা একদিনে হয়েছে। ফলে নদীতে পানির স্তর খুবই বেড়ে গেছে।
এদিকে বাভারিয়া ও বাডেন উইরটেমবার্গ সপ্তাহান্তের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। একজন দমকলকর্মী মারা গেছেন। একজন নিখোঁজও রয়েছেন।
বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা চার যুবক বন্যার কারণে ফিরতে পারছিলেন না। তারা জানান, বাড়ি ফেরার পথ বন্ধ। পুরো এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তারা জানান, আগের দিন একটি বাড়ি থেকে দুটি গাড়ি নিয়ে পাহাড়ের দিকে রেখে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু এখন আর কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। চারদিক থেকে পানি আসছে।
যাদের উদ্ধার করা হচ্ছে, তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাছে পাশের শহরের স্পোর্টস স্টেডিয়ামে। সেখানে রিসিপশন ও এক্সিবিশন হলে তিনশ খাট পাতা হয়েছে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হয়েছে।
শিবিরে থাকা ফিশার বলছিলেন, আমরা জানি না, বাড়িতে কতটা পানি ঢুকেছে। আমরা ভাবতে পারিনি, পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা বাড়ি ফিরতে চাই।
ডয়চে ভেলে বাংলা অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
আরএইচ