ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় শান্তি স্থাপনে বাইডেনের জোর তৎপরতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
গাজায় শান্তি স্থাপনে বাইডেনের জোর তৎপরতা

গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অস্ত্রবিরতির সেই প্রস্তাব অবশ্য এখনো সব বাধা দূর করতে পারেনি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় চরম জাতীয়তাবাদী দুই মন্ত্রী জোট সরকার ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। নেতানিয়াহু নিজেও বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা না পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে।

ওয়াশিংটন সফরে এসে নেতানিয়াহু বিষয়টি কীভাবে সামলাবেন, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সেই বোঝাপড়া কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর। জি-সেভেন গোষ্ঠী ইতোমধ্যেই এ প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে।

গাজায় শান্তি প্রস্তাবের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির আশায় বাইডেন প্রশাসন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, একাধিক নেতা ও সরকার ইতোমধ্যে সেই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন।

তাই সেই বোঝাপড়া কার্যকর করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন দূত বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এতদিন যে সব পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছিল, শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে সে সব অন্তর্গত রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন সরাসরি ইসরায়েল ও হামাসের ওপরও বোঝাপড়া মেনে নেওয়ার জন্য জোরালো চাপ সৃষ্টি করছে। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক দলের সব ভোটারদের সমর্থন আদায় করতেও বাইডেন আগ্রহী।

গাজা সংকট ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে, বাইডেনের পক্ষে তা আর উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সচেতনভাবেই শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শান্তি প্রস্তাবের প্রতি পুরোপুরি সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে হামাসকে চেপে ধরতে এমন আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

বাইডেন নিজে সোমবার কাতারের নেতা শেখ তামিম বিন হামাদ আল তানির সঙ্গে কথা বলেছেন। হামাসের সঙ্গে মধ্যস্ততার ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে সে সংলাপ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। সুলিভান তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকিফ চায়াতাইয়ের সঙ্গেও সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

ডয়চে ভেলে অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
আরএইচ
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।