ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাসকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করল জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
ইসরায়েল-হামাসকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করল জাতিসংঘ

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নতুন এক প্রতিবেদনে ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধাপরাধ ঘটানো এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের তদন্তকারীরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। বেসামরিকদের ওপর হামলা এবং খুন বা ইচ্ছাকৃত হত্যার জন্য যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে উভয়পক্ষকেই।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের শেষ সময় পর্যন্ত তথ্য উঠে এসেছে। নির্যাতন, নির্মূল এবং ফিলিস্তিনি পুরুষ ও ছেলেদের লক্ষ্য করে লিঙ্গ নিপীড়নে ইসরায়েলকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। দেশটির অভিযোগ, কমিশন তাদের বিরুদ্ধে একটি সংকীর্ণ নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক এজেন্ডা অনুসরণ করছে।

তদন্তকারীদের সংকলন করা প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করা হবে। ভুক্তভোগী, সাক্ষী, চিকিৎসা প্রতিবেদন এবং উন্মুক্ত উৎসের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।  

জাতিসংঘের সাবেক মানবাধিকার প্রধান নাভি পিলের নেতৃত্বাধীন প্যানেল বলছে, জনবহুল এলাকায় ইসরায়েলের ভারী অস্ত্র ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছে।  

গাজায় লোকজনকে অনাহারে রাখা, নির্বিচারে আটক এবং হাজার হাজার শিশুকে হত্যা এবং তাদের পঙ্গুত্বের মতো কারণে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ব্যাপক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগও তুলেছেন তদন্তকারীরা। ওইদিন হামাসের হামলায় ইসরায়েল এক হাজার ২০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে। হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন এবং সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে এক ধরনের গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রকাশ্যে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধেও যৌন সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।