নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২০ সেনার প্রাণ গেছে। সঙ্গে এক বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় বলছে, বুধবার থেকে জাতীয় শোক শুরু হয়েছে। আগের দিন তিলারেরি অঞ্চলের তাসিয়া গ্রামের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন নয়জন।
বুরকিনা ফাসো সীমান্ত লাগোয়া স্থানে ওই হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমনটি জানায়। বিবৃতিটি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে পড়ে শোনানো হয়। তবে কোনো গোষ্ঠীর নাম নেওয়া হয়নি।
নিজেদের রক্ষায় সেনারা সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েক ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। বাকি হামলাকারীদের ধরতে আকাশ ও স্থলবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
নাইজারে গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে। সামরিক সরকার ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলে।
নাইজার হলো পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি মধ্যে একটি, সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত। এসব বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো গত ১২ বছরে মালি থেকে বেরিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। গোষ্ঠীগুলোর হামলায় হাজার হাজার লোক হত্যার শিকার হয়েছে এবং লাখ লাখ লোক ঘরছাড়া হয়েছে।
মালি ও বুরকিনা ফাসো সীমান্ত লাগোয়া তিলাবেরি অঞ্চলের তাসিয়া গ্রামটির অবস্থান। সেখানে আল-কায়েদা ও আইএস গোষ্ঠীগুলো প্রায় এক দশক ধরে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
আরএইচ