ভেনেজুয়েলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে রোববার। এই নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টি অব ভেনেজুয়েলার (পিএসইউভি) জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৩ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর থেকে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছে।
মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এদমুন্দো গনসালেস। তিনি সাবেক কূটনীতিক। বিরোধী দলগুলোর জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন গনসালেস।
বিভিন্ন জরিপ বলছে, গনসালেস ক্ষমতাসীনদের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন। মাদুরোর ২০১৮ সালের পুনর্নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। এ কারণে এই নির্বাচনের ফল কারচুপির শঙ্কা রয়েছে।
মাদুরো তার সমর্থকদের বলেছেন, যেভাবেই হোক, তিনি নির্বাচনে জিতবেন। এতে ফল কারচুপির শঙ্কা আরও জেঁকে বসেছে।
দেশটিতে ভোট পর্যবেক্ষণে খুবই সীমিত সংখ্যক স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সুযোগ পেয়েছেন। জাতিসংঘের চারজন এবং কার্টার সেন্টারের একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে থাকছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের প্রধান, যিনি প্রেসিডেন্ট মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র।
মাদুরো সরকারের উচিত নির্বাচনে সম্ভাব্য পরাজয় মেনে নেওয়া- এমনটি বলার পর আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকেও আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মিত্র দেশগুলোর শতশত অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছেন মাদুরো। তিনি বলছেন, তারা এই নির্বাচনে সহযোগী হচ্ছেন।
ইতোমধ্যে বিরোধীরা স্বতন্ত্র ব্যালট কেন্দ্রগুলো পাহারা দিতে হাজার হাজার লোকের জমায়েত করেছে।
বিরোধীরা নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বছরের শুরু থেকে প্রচার সংশ্লিষ্টতায় শতাধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং টানা হয়রানির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এতসবের পরও তারা আশাবাদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
আরএইচ