জর্দানের উম্ম আল-জিমাল নামের একটি গ্রাম ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো। দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তিমন্ত্রী বিষয়টি মহান অর্জন আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি নয়াদিল্লিতে বৈঠক করছে। কমিটি শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে বলেছে, উম্ম আল-জিমালে উন্মোচিত প্রাচীনতম স্থাপনাগুলো খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর, যখন এলাকাটি নাবাতিয়ান রাজ্যের অংশ ছিল।
এটি আরও বলছে, গ্রিক, নাবাতিয়ান, সাফাইতিক, লাতিন ও আরবি শিলালিপি ওই অঞ্চলে পাওয়া গেছে... যা সেখানকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিবর্তনের ওপর আলোকপাত করে।
জর্দান-সিরিয়া সীমান্তে গ্রামটির অবস্থান। জর্দানের রাজধানী আম্মান থেকে এটি ৮৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ওই অঞ্চলে কালো আগ্নেয় শিলার বিস্তৃতি রয়েছেন। এ কারণে অঞ্চলটি কালো মরুদ্যান নামে পরিচিত।
জর্দানের পর্যটন ও পুরাকীর্তিমন্ত্রী মাকরাম আল-কাইসি রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় উম্ম আল-জিমালের অন্তর্ভুক্তি একটি বড় অর্জন, এর জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে চায় এবং গ্রামটিকে আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়।
গ্রামে বাণিজ্য কাফেলার অংশ হিসেবে উটের ব্যবহার থেকে উম্ম আল-জিমাল নামটি এসেছে, সেখানে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে প্রথম বসতি স্থাপন করেন নাবাতিয়ানরা। পরে রোমানরা অঞ্চলটি দখলে নেয়। এরপর তা গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
জর্দানে সপ্তম ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে উম্ম আল-জিমাল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
আরএইচ