টাইফুন গায়েমির পশ্চাৎ অংশ চীন ও উত্তর কোরিয়ায় আঘাত হেনেছে। এতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত, বন্যা ও মাটিধসের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের দিন মাটিধসের ঘটনায় ১৫ নিহত হন। এ ঘটনায় আরও সাতজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহত ২২ জনে দাঁড়াল।
বার্তাসংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, ঝিসিং শহরে চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি খবরে জানায়, নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ কাছের একটি গ্রামে পাওয়া গেছে।
চীনের উপকূলের কাছাকাছি ফুজিয়ান প্রদেশ হয়ে মূল ভূখণ্ডের দিকে সরে গেছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় গায়েমি। এর প্রভাবে কয়েকদিন ধরে হুনান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত সপ্তাহে তাইওয়ানে ঝড়টি আঘাত হানে।
চীনে সব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে হুনান প্রদেশে। মঙ্গলবারও তিনজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সিনহুয়া জানায়, জিসিংয়ে ভারী বৃষ্টিতে হাজারের কাছাকাছি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১১ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৩৪৫টি সড়ক ভেঙে গেছে।
শহরের কিছু স্থান রেকর্ড বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও ৬৪৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।
একই সময়ে, প্রদেশের অন্য স্থানে বাঁধ ভাঙার কারণে প্রায় চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রোববার হুনানে ভূমিধসে একটি গেস্টহাউস ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর বন্যার ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জনের প্রাণ যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
আরএইচ