পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এমন এক সমস্যা রয়েছে, যাতে রাজনীতিবিদদের আসলে কিছুই করার নেই। সেখানে রয়েছে ইঁদুরের উৎপাত।
২০০৮ সালের এক বৈঠকের নথি খুঁজতে গিয়ে ইঁদুরের সমস্যা সামনে আসে। নথিগুলো খুঁজে পাওয়া যায় ঠিকই, তবে সেগুলোর বেশির ভাগই ইঁদুর কেটে ফেলেছিল। খবর বিবিসির।
জাতীয় পরিষদের মুখপাত্র জাফর সুলতান বিবিসির কাছে ইঁদুরের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, এখানে ইঁদুর এত বড় যে, বিড়ালও তা দেখে ভয় পেতে পারে।
উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে, ইঁদুর তাড়াতে বার্ষিক ১২ লাখ রুপি বাজেটে রাখতে হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় ইঁদুর সবচেয়ে বেশি। এ তলায় সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতার কার্যালয়।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক দ্বিতীয় তলায়ই আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে একটি খাবারের হলও রয়েছে।
দিনের আলোতে ইঁদুরগুলো লুকিয়ে থাকে। জাতীয় পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, সন্ধ্যায় যখন সবাই চলে যান, তখন ইঁদুরগুলো ম্যারাথনের মতো দৌড়ায়। কর্মচারীরাও এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। প্রথমবার কেউ এলে ভয় পেয়ে যাবেন।
ইতোমধ্যে তারা পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির খোঁজ চেয়ে পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
আরএইচ