তেহরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের পাল্টা হামলা চালানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক করেছে দেশটি।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
এক ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের সঙ্গে মিলে আটকে দিয়েছে।
তারা জানায়, বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করতে পেরেছে এবং আঘাতে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা মুখপাত্র জ্যাক সুলিভান এক সংবাদ সম্মেলনে বলছেন, ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। মার্কিন নৌ বিধ্বংসী ব্যবস্থা ইসরায়েলকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সাহায্য করেছে।
এদিকে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শাহাব ১ এর হামলার পাল্লা ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ফাতাহ-১১০ এর পাল্লা ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। শাহাব ২ এর সক্ষমতা ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। জোলফাগরের পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। কিয়াম-১ এর সক্ষমতা ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সাহাব-৩ এর পাল্লা দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
ইরান ইসরায়েলে ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা জানতে বিবিসি ভেরিফাই সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে।
গোয়েন্দা পরামর্শক সংস্থা আরমামেন্ট রিসার্চ সার্ভিসেসের (এআরইএস) গবেষণা সমন্বয়ক প্যাট্রিক সেনফট বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো বলছে, হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দ্রুত লক্ষ্যে পৌছায়। ইরানের অধিকাংশ দূরপাল্লার হামলার ক্ষমতা এ ক্ষেপণাস্ত্রেই রয়েছে।
তার সহকর্মী সিএসআইএসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মার্ক কানসিয়ান বলেন, গত এপ্রিলে ইরানের হামলার সঙ্গে আজকের হামলার পার্থক্য হলো, আজ আরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত করছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উচ্চ গতির কারণে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তা আটকে দেওয়া কঠিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
আরএইচ