সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি থাকলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইরানি হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল। মার্কিন সংবামাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইরানের প্রধান তেল উৎপাদন কেন্দ্র অথবা কৌশলগত সামরিক স্থাপনা। যদিও বেশিরভাগ ইসরায়েলি কর্মকর্তা ইরানের তেল স্থাপনাগুলিতে হামলার কথা বেলেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা অথবা কাসেম সোলেইমানির মত প্রভাবশালী নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।
এক্ষেত্রে ইসরায়েল সরাসরি বিমান হামলা চালাতে অথবা দুই মাস আগে তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার মতো গোপন অভিযানও চালাতে পারে।
গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। জবাবে ইরানে একটি এস-৩০০ এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারির আংশিক ধ্বংস করে দিয়েছিল ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের জবাবের ব্যাপ্তি অনেক বেশি হবে।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ইরানে পাল্টা হামলার বিষয়ে আলোচনা করলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেছেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার একটি কারণ হলো ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করতে চান। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরিকল্পনার সমন্বয় করে এই হামলার জবাব দিতে চায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার পর ইরান যদি আবারও ইসরায়েলে হামলা চালায়; তা প্রতিরোধ করতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রয়োজন হবে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর জন্য আরও যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োজন হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বলেছেন, ইরানের আক্রমণের জবাব ইসরায়েল কীভাবে দেবে তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন-তেল আবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
এমএম