হিমাচল প্রদেশের সোলান শহরে মুসলিম-বিরোধী মিছিলের দিনটি স্মরণে এলে এখনো ভয়ে-আতঙ্কে গা শিউরে ওঠে ২৬ বছর বয়সী ফারহান খানের।
দিনটি ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর।
ফারহান বলছিলেন, ‘তারা আমার মুখের দিকে ক্যামেরা ধরে রাখে এবং হেনস্তা করতে থাকে। আমি কেন দোকান খুলেছি তা জানতে জেরা করতে থাকে। এরপর আরও কিছু লোক এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। তারা সহিংসতা শুরু করে’
ফারহানের ভাষ্যে, তখন ওই হাঙ্গামাবাজরা তাকে ধরে এলাকায় আরও মুসলিম মালিকের দোকান খুঁজতে থাকে। ‘তাদের হুমকি-ধমকির মুখে আমি পাঁচ-ছয়টি দোকান দেখিয়ে দেই এবং ওই দোকানগুলো বন্ধের কথা বলি,’ তিনি উল্লেখ করেন।
হিমালয়ঘেঁষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিমাচল প্রদেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র। কিন্তু এ রাজ্যের রাজধানী শিমলায় মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবিতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আন্দোলনের পর পর্যটন কেন্দ্রটি ঘিরে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। কারণ ওই আন্দোলন কেবল মসজিদ ভাঙার দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, পরে তা মুসলিম-বিরোধী বিস্তৃত প্রচারণায় রূপ নেয়। যেখানে মুসলিমদের অর্থনৈতিকভাবে বয়কট এমনকি তাদের রাজ্য থেকে বের করে দেওয়ারও দাবি তোলা হয়।
‘ঘরে দুদিন তালাবদ্ধ ছিলাম’
দ্য হিন্দু পত্রিকার খবর অনুসারে, ৩১ আগস্ট বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শিমলার এক স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে পাশের আরেক শহর সানজৌলির কিছু শ্রমিকের হাতাহাতি ও মারামারি হয়। কিছুদিনের মধ্যেই তা রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায়।
১০ সেপ্টেম্বর সানজৌলির একদল উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবক—যাদের মধ্যে ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (ভিএইচপি)—শহরের মাঝখানে একটি পাঁচতলা মসজিদের সামনে জড়ো হয়। তারা মসজিদটি ‘অবৈধভাবে নির্মিত’ দাবি করে সেটি ভেঙে ফেলার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ভিএইচপি হলো ভারতজুড়ে উগ্রপন্থি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর একটি, যারা কি না সাংবিধানিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত গোপন স্বেচ্ছাসেবী আধাসামরিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নেতৃত্বে কাজ করে। এই আরএসএস হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভাবাদর্শিক সংগঠন।
সানজৌলির ওই মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন গোটা হিমাচল প্রদেশজুড়ে মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়। হিমাচলে জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মুসলিম। উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গুজরাটসহ অন্য রাজ্যগুলোর মতো হিমাচলে এর আগে কখনো এমন বিস্তৃত আকারে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক হাঙ্গামা দেখা যায়নি।
১১ সেপ্টেম্বর পার্শ্ববর্তী মালিয়ানা শহর থেকে আরেকদল গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী সানজৌলি অভিমুখে মার্চ করে। সেখানে গিয়ে তারা প্রশাসনের কাছে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করে। এর মধ্যে ছিল সব ‘অবৈধ’ অভিবাসী শ্রমিককে বহিষ্কার, ‘অবৈধ’ মসজিদসহ মুসলিম সম্প্রদায়-সংশ্লিষ্ট সব স্থাপনা অপসারণ করার দাবিও।
উত্তেজনা নিরসনে পরদিন ‘সমঝোতামূলক’ পদক্ষেপ হিসেবে মসজিদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শহরের কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দেয়। যেখানে মসজিদ ভবনের ‘অবৈধ’ অংশ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়।
কিন্তু সেই পদক্ষেপও পরিস্থিতির লাগাম টানতে পারেনি। হিমাচল প্রদেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যার মাধ্যমে ছড়াতে থাকে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা। বিক্ষোভকারীরা মুসলিমদের দোকান-পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বয়কট; তাদের কর্মে নিযুক্ত করা এবং তাদের কাছে বাসা ভাড়া দেওয়া বন্ধেরও দাবি তোলে। এতে সম্প্রদায়টির লোকজনের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ফলে অনেকে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
সোলানের দোকান মালিক ফারহান খান বলছিলেন, ‘আমার দোকানের মার্কেটের হিন্দু মালিক ভালো মানুষ, কিন্তু উগ্রপন্থিদের চাপের কারণে তিনি আমাকে যত দ্রুত সম্ভব দোকান খালি করতে বলেন। ’
তিনি জানান, এমন পরিস্থিতি তৈরির প্রেক্ষাপটে অর্ধশত মুসলিম অভিবাসী (ভিনরাজ্য থেকে আসা) শ্রমিক নিজরাজ্যে ফিরে যান।
নিজের উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদের শহর থেকে টেলিফোনে ফারহান বলছিলেন, তার হিমাচল প্রদেশে আর ফেরার কোনো ইচ্ছে নেই। কারণ তিনি জীবিকার চেয়ে জীবনকেই বেশি মূল্যবান মনে করেন।
ফারহান বলেন, ‘আমার মনে আছে, টানা দুদিন আমি ঘরে তালাবদ্ধ হয়েছিলাম। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর মুরাদাবাদে চলে আসি। ’
ধর্মের ভিত্তিতে কর্মী-বিক্রেতার পরিচয় শনাক্তকরণ
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা আইএনসি তাদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ আদর্শের বলে প্রচার করে থাকে। কিন্তু হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকার এমন একটি পদক্ষেপ নেয়, যা মুসলিমদের আরও বেশি ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। সেখানকার সরকার রেস্তোরাঁ ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে কর্মী বা বিক্রেতাদের নাম প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করে দয়ে।
সরকারের দাবি, ক্রেতাদের সুবিধার্থে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু অধিকারকর্মীদের মতে, অগ্রসর গোষ্ঠীর হিন্দুদের সুবিধার জন্য এই সিদ্ধান্তটি সরকার নিয়েছে, যাতে তারা মুসলিম কর্মী বা বিক্রেতাদের প্রস্তুত করা খাবার এড়িয়ে যেতে পারে।
হিমাচলের সরকারের একদিন আগে উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারও একই রকমের নির্দেশনা জারি করে। ২০ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওই রাজ্যেও রেস্তোরাঁসহ খাবার দোকানে কর্মীদের নাম প্রদর্শন করতে বলা হয়।
অথচ এমন চিন্তাভাবনা আলোচনায় আসার পর গত জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্ট একটি রুল জারি করে, যেখানে বলা হয়, এ ধরনের নীতি ধর্ম ও বর্ণবাদী বৈষম্যকে উসকে দেবে।
অবশ্য বিজেপির ‘মেরুকরণ কৌশল’র সমালোচক কংগ্রেস নিজেই তোপের মুখে পড়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সেই নাম প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
অবশ্য এই অক্টোবরের শুরুর দিকে পর্যন্ত কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। এসব ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী সানজৌলি ও শিমলার কিছু এলাকায় পুস্তিকা বিতরণ করছে, যেখানে দোকানদারদের বলা হয়, তারা যেন প্রতিষ্ঠানের সামনে ‘সনাতনী ভেজিটেবল বিক্রয়’ বা এ জাতীয় কিছু লেখা প্রদর্শন করে। ‘সনাতনী’ শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করে মূলত উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে ধর্মীয় পরিচয় শনাক্তের সুযোগ দেওয়া হয় ওই অঞ্চলে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই শহরের অনেক দোকানে এখন এমন লেখাই প্রদর্শন করছেন বিক্রেতারা।
ধর্মপরিচয় জেনে তারপর কাজ দেওয়া হচ্ছে
সানজৌলি মসজিদ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ঈদগাহ কলোনি। এখানে যারা থাকেন, তাদের বেশিরভাগই মুসলিম অভিবাসী শ্রমিক। এদের একজন পশ্চিমবঙ্গের হামজা। তিনি ১৫ বছর ধরে রঙমিস্ত্রির কাজ করছেন। সাধারণত কাজের জন্য বছরে সাত মাস শিমলায় থাকেন তিনি।
হামজা বলছিলেন, ‘এই রাজ্যে আমি এত বছর ধরে কাজ করছি, এখনকার মতো বৈষম্যের মুখে আমি আর কখনো পড়িনি। ধর্মপরিচয় জানতে লোকজন আগে আমাদের নাম জিজ্ঞেস করছে, তারপর কাজ দেবে কি দেবে না সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ’
মুসলিম সংখ্যালঘুদের ভয়-আতঙ্কে দিনযাপন এবং হিমাচল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, ‘ভারতের সংবিধান মেনে চলতে রাজ্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে’।
বিক্ষোভের ‘বৃহৎ উদ্দেশ্য’ আছে!
৫২ বছর বয়সী মেহফুজ মালিক উত্তর প্রদেশের বিজনোর জেলার বাসিন্দা। ১৯৮৬ সালে কেবল কিছু পোশাক নিয়ে শিমলায় চলে আসেন। সেখানে তিনি দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেন। এখন তিনি সানজৌলির ইদগাহ কলোনিতে একটি ছোট মুদি দোকান চালান, যা দিয়ে চলে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে তার চারজনের সংসার।
মেহফুজ জানান, তিনি ৩৮ বছরের বেশি সময় ধরে সানজৌলির মসজিদটিতে নামাজ পড়ছেন। কিন্তু এখন সেখানে যেতে তার ভয় করে।
তিনি বলেন, ‘যে শহরে আমার পরিবার ও আমি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলো কাটিয়েছি, সেই শহর হঠাৎ অপরিচিত মনে হচ্ছে। আমার এখন মনে হয় না যে আমি এখানকার কেউ। ’
‘আগামী বছর আমার ছোট ছেলের স্কুলের পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর এই শহর ছেড়ে চলে যাবো। পরিবারের কার সঙ্গে কখন কী ঘটে যায় তা নিয়ে উদ্বেগে থাকতে হয়, এমন ভয় নিয়ে কে থাকতে চাইবে? আমি পারবো না’, বলেন মেহফুজ।
মেহফুজ বলেন, যদি কেবল মসজিদ অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে বলে সেটির বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ হতো, তবে সেটির অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলতে ব্যবস্থাপনা কমিটি চিঠি দেওয়ার পরই তা থেমে যেতো। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর বিক্ষোভটা পরে যেভাবে ছড়ালো, তাতে এটা বোঝা যায় যে, এখানে বৃহৎ কোনো উদ্দেশ্য আছে। আর সেই লক্ষ্যটা হলো সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক ছড়ানো।
৫ অক্টোবর শিমলা পৌরসভা আদালত ওই মসজিদের ‘অননুমোদিত’ তিন তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন এবং এটি বাস্তবায়নে ভারতের মসজিদ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ ওয়াকফ বোর্ডকে দুই মাস সময় দেন।
কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্ক্সিস্টের (সিপিএম) নেতা ও শিমলার সাবেক ডেপুটি মেয়র টিকেন্দর পানবার বলেন, “হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর এ ধরনের প্রচারণা হিমাচল প্রদেশের সরকারকে ‘অস্থিতিশীল করার’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত’ করার ‘পদ্ধতিগত অপচেষ্টা’।
তিনি বলেন, ‘এটা বৃহৎ পরিসরের গেম প্ল্যান, যা বাস্তবায়ন হচ্ছে আরএসএসের নির্দেশে। জঙ্গলে ও সরকারি জমিতে আরও অনেক ধর্মীয় স্থাপনা আছে, যাতে বোঝা যায় যে মসজিদের ব্যাপারটি বৈধতার বিষয় নয়, বরং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা। ’
হিমাচল প্রদেশে মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভের অগ্রভাগে থাকা উগ্রবাদী সংগঠন ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমল গৌতম। তাকে এ ধরনের বিক্ষোভে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিক্ষোভ বিভাজন নয় বরং সচেতনতা তৈরির জন্য হয়েছে। যদি স্থানীয় মুসলিমরা এটিকে অন্যভাবে দেখে, তাহলে তারা একটা পক্ষ নিয়ে নিক–হয় তারা আমাদের মতো স্থানীয় হিন্দুদের সঙ্গে, নয়তো তারা অভিবাসী মুসলিমদের পক্ষে’।
কমল গৌতম বলেন, ‘গত ৫-১০ বছর ধরে আমরা পরিবর্তন দেখছি। এই অভিবাসীরা স্থানীয় মুসলিমদের উগ্রতায় প্রভাবিত করছে। এখন তাদের পোশাক-আশাকেও সেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আগে তারা জিন্স ও শার্ট পরতো, এখন তারা কুর্তা ও বোরকা পরছে। ’
রঙমিস্ত্রি হামজা বলছিলেন, ধর্মের মতো ব্যক্তিগত বিষয় উপার্জনের সক্ষমতায় মানদণ্ড, এটা তাকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
‘আমার মনে হয় আমাকে দ্রুতই হিমাচল ছাড়তে হবে। তারা আমাকে কাজ দিচ্ছে না। তাহলে আমি কীভাবে উপার্জন করবো আর আমার পরিবারের কাছে পাঠাব। এই দেশ অন্যদের যেমন, তেমন আমারও। কিন্তু অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া খুবই যন্ত্রণার’, বলেন হামজা।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিদ্বেষমূলক প্রচারণা যদি চলতেই থাকে, তবে ভারতজুড়ে হিমাচলেরই কর্মীরা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। ’
দোকান মালিক মেহফুজ মালিক জানান, শিমলায় শিগগির শান্তি ফেরার আশা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তার মনে হয়, এই বিদ্বেষমূলক প্রচারণা বাড়তেই থাকবে।
তিনি বলেন, ‘যখন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষে শান্তি বিঘ্নিত হয়, তখন এটি আর কখনোই পুরোপুরি ফেরে না। মানুষের অন্তরে এই বিদ্বেষ চিরদিনের জন্য থেকে যায়। ’
(আল জাজিরার প্রতিবেদন অবলম্বনে)
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এইচএ/