ওয়াশিংটন: ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য তৈরি বিলে স্বাক্ষর করলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে এটি আইনে পরিণত হলো।
বারাক ওবামা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচিতে ইরানের অর্থায়ন করার সামর্থ্যে আঘাত হানা হবে এবং দেশটিকে একঘরে করে রাখার ব্যাপারটাও জোরদার হবে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে এই আইন আরোপ করতে যাচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য, ইরানের পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম দ্রব্যসামগি যেমন, গ্যাসোলিন ও জেট ফুয়েল আমদানি ও আন্তর্জাতিক ব্যাংক ব্যবস্থায় প্রবেশের ব্যাপারে বাধা দেওয়া।
স্বাক্ষর করার আগে হোয়াইট হাউসে ওবামা বলেন, ‘অন্যগুলোর সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমরা ইরানের সরকারের পরমাণু কর্মসূচিতে অর্থায়নের সামর্থ্য ও উন্নয়নের মূলে আঘাত করছি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে দৃঢ়সঙ্কল্প। ’
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আইনে বলা হয়েছে, কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইরান যে কোনো একটি দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ৯৯-০ ভোটে ও হাউস অব রেপ্রিজেনটেটিভস এ ৪০৮-৮ ভোটে এই নিষেধাজ্ঞা আইনটি সমর্থন পেয়েছে। এর আগে, গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এই আইনের ফলে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ইরানের বীমা, নৌসেবাসহ জ্বালানি খাতে যেসব কোম্পানি বিনিয়োগ করে তারাও নিষেধাজ্ঞা আইনের লক্ষ্য। ইরানের এলিট রেভলুশনারি গার্ডের সঙ্গে যাদের ব্যবসায় রয়েছে তারা এই আইনের আওতায় পড়বে।
নতুন এই আইনের কারণে এরইমধ্যে কিছু কোম্পানি ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১০