প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অনুমতি এবং কিয়েভকে বিতর্কিত অ্যান্টি-পার্সনেল ল্যান্ড মাইন সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইউক্রেনের সামরিক ক্ষতি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন এবং যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ান সেনাদের উপস্থিতি এসব প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলেন বাইডেন।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এখন স্বীকার করতে শুরু করেছেন, ইউক্রেন হয়তো ‘রাশিয়ার সাথে আলোচনা’ করতে বাধ্য হবে এবং তাদের হয়ত শেষ পর্যন্ত নিজেদের দাবি করা অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে। অনেক মার্কিন কর্মকর্তা এখন মানেন যে, ‘কয়েক মাসের মধ্যে’ ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ‘ফিরে আসার আগে’, কিয়েভের বাহিনী যখন ক্রাস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে যুদ্ধ করছে, তখন ইউক্রেন সম্ভবত গত ‘তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে’ রয়েছে। কিয়েভের বিদেশি মিত্রদের মধ্যে এখন এই নীরব স্বীকৃতি ছড়িয়ে পড়ছে যে ‘ইউক্রেনকে তাদের কিছু এলাকা পরিত্যাগ করতে হতে পারে’।
রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনকে আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি এবং নিষিদ্ধ ল্যান্ডমাইন সরবরাহ করার অন্যতম কারণ ছিল রাশিয়ার সাথে ‘সম্ভাব্য আলোচনা’ শুরুর আগে সমঝোতার জন্য ইউক্রেনকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখা।
ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কাছে কোনো এলাকা ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ইউক্রেনের নেতারা অভিযোগ করছেন, এরকম উন্নত অস্ত্র যদি প্রথম থেকেই সরবরাহ করা হতো, তবে তাদের যুদ্ধক্ষমতা অনেক বেড়ে যেত।
তবে, বাইডেনের কর্মকর্তারা ‘এটি মেনে নিয়েছেন’ যে ট্রাম্প ‘ইউক্রেনকে আর সহায়তা প্রদান করবেন না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
এমএম