পিয়ংইয়ং: যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বন্ধমুখর অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার পার্লামেন্ট বসছে আজ সোমবার। টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধ জাহাজ চিওনান ডুবে যাবার এ ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশের দু’দিন আগে গত ১৮ মে দেশটির সংসদ ‘সুপ্রীম পিপলস্ অ্যাসেম্বলি’র দ্বিতীয় বিশেষ অতিরিক্ত এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়।
ব্যক্তিগত পরিবর্তন বা যুদ্ধ জাহাজ চিওনান ডুবে যাবার ঘটনায় যেকোনো উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় এ অধিবেশনের আহ্বান করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এই অধিবেশন আহবান দেশটির জন্য খুবই দূর্লভ ঘটনা। কেননা ২০০৩ সালের পর কমিউনিস্ট শাসিত এ রাষ্টট্রি প্রথমবারের মত একবছরে ২য়বারের মতো সংসদ অধিবেশন আহ্বান করলো। তবে এর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
আশা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে গত ২৬ মার্চ উত্তরের টর্পেডোর আঘাতে দক্ষিণের যুদ্ধজাহাজ ডুবি এবং দেশটির ৪৬ নাবিক নিহত হওয়ার পর দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হবে।
আন্তর্জাতিক এক তদন্তে জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশিত হলেও উত্তর কোরিয়া বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এরইমধ্যে এ ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির জন্য দক্ষিণ কোরিয়া গত শুক্রবার জাতিসংঘে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
এদিকে বিবিসি জানায়, দুলর্ভ দ্বিতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে আজ সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদে কিম ইয়ং-লি’র পরিবর্তে চো ইয়ং-রিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের নেতা কিম জং-লি’র ভগ্নিপতি চ্যাং সং-থ্যাককে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর উচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও গণমাধ্যমটি জানায়।
এদিকে এপ্রিলের ৯ তারিখের অধিবেশনে যোগ না দিলেও কিম এ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১০
এনজে/এনএস