ইসলামাবাদ: ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব সম্মেলনে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা প্রশ্নে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। বিশ্বের ৪৭টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো- পরমাণু অস্ত্র সন্ত্রাসীদের নাগালের বাইরে রাখা।
পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্রের চোরাচালান, তালেবান গোষ্ঠীর উত্থানের ঘটনা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সবসময় সন্দেহের চোখে দেখে আসছে। বিশেষ করে, পরমাণু বিজ্ঞানি আবদুল কাদির খানের ঘটনার পর ভারত বেশ সতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানে তালেবান জঙ্গিরা পরমাণু অস্ত্রের দখল নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির ওপর ‘লং রোড টু চাগাই’ গ্রন্থের রচয়িতা সাংবাদিক শহীদ-উর-রহমান বলেন, ‘পাকিস্তানে মজুদ পরমাণু অস্ত্রের ওপর ভারত পক্ষ থেকে কড়াকড়ি নিয়ন্ত্রণ আরোপের দাবি জানানো হতে পারে। তাদের মূল লক্ষ্য, বিশ্ববাসীর সহায়তায় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ’
আজ রোববার বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই গিলানির।
ওবামা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সম্মেলনে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। পরমাণু অস্ত্র বা এটা তৈরির প্রযুক্তি যাতে আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে না পৌঁছায় এমন একটি চুক্তি করা হবে। ’
ইরান ও উত্তর কোরিয়া এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না।
পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত নরেশ চন্দ্র জানান, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রকে ঘিরে ভারত অত্যন্ত সন্দেহ পোষণ করে। কারণ তারা এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত জানান, ‘পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র সন্ত্রাসী বা জঙ্গীদের দখলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’
ওবামা আশা করছেন, এই সম্মেলনে ভারত ও পাকিস্তান পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ সময় ০৩৩৮