ঢাকা: গাজায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। তবে ইসরায়েলে সঙ্গে যুদ্ধের কারণ নয়।
যুদ্ধের পর বন্যা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো। এমনিতেই ইসরায়েলের সঙ্গে ৫০ দিনের যুদ্ধে গাজার উপত্যকার বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়েছেন। বাড়িতে এখনও ফিরতে পারেননি অনেকে। বেশিরভাগই অস্থায়ী ক্যাম্পে তাবু গেঁড়ে থাকছেন।
বন্যার ফলে তাদের এখন অন্যত্র যাওয়ার জায়গাও রইল না।
গত আগস্টে মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার যুদ্ধবিরতি হয়। যুদ্ধে গাজার অবকাঠামো একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে। ২ হাজার একশ’র বেশি ফিলিস্তিনি ও ৬৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়।
অক্টোবরে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী গাজা পুনর্গঠনে ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অর্থ এখনও পেতে শুরু করেনি গাজা।
বন্যায় কেউই হতাহত না হলেও এর আঘাতটা খুবই প্রবল। শত শত মানুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। গাজায় ৬৩ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পাচ্ছেন না। বিদ্যুতহীন দিনাতিপাত করছেন।
যুদ্ধের সঙ্গে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করেই জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৪