ঢাকা: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনা ক্যাম্প ও পুলিশ তল্লাশি কেন্দ্রসহ চারটি স্থানে জঙ্গি হামলায় এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও ৮ সৈন্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য এবং ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগর শহর, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী শহর উড়ি, ত্রল ও শফিয়ান এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।
কাশ্মীর রাজ্যে ধাপে ধাপে নির্বাচন চলাকালে এই হামলার জন্য পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অভিযুক্ত করছে ভারত।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জম্মু-কাশ্মীর সফরের মাত্র দুই দিন আগে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটলো। স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সোমবার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল মোদীর।
সেনাক্যাম্পে হামলার ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, গত ছয় বছরের মধ্যে এটিই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, ভোরে কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উড়ি শহরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) অবস্থিত একটি সেনা ক্যাম্পে ৩-৪ জন জঙ্গি ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। এতে এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও ৮ সৈন্য এবং চার জঙ্গি নিহত হন।
এরপর শ্রীনগর শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি পুলিশ তল্লাশি কেন্দ্র লক্ষ্য করে দুই সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি চালালে পুলিশের পাল্টা গুলিতে তারা নিহত হয়। এছাড়া, ত্রল ও শফিয়ান এলাকায় বোমা হামলায় মারা যায় আরও দু’জন।
এ হামলার ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তানের এসব বন্ধ করা উচিত। তারা যদি বন্ধ করতে না পারে তবে ভারতকে বলুক।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিবাদমান কাশ্মীর রাজ্যের এই নির্বাচনের ফলাফল আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।
‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নির্বাচন বর্জনের ডাকের মধ্যেই পাঁচ ধাপের ভোটগ্রহণের দুই ধাপ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।
এই হামলা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৪