ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে বাহরাইনে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে ব্রিটেন।
এর ফলে ১৯৭১ সালে এই অঞ্চল থেকে চলে যাওয়ার পর আবার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাজ্যের একটি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সৃষ্ট হুমকির প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাহরাইনসহ উপসাগরীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাহরাইনের যুবরাজ ধর্মের নামে শয়তানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকার বজায় থাকবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে বাহরাইন কাজ করে যাবে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তির আশু বাস্তবায়নে এবং আঞ্চলিক হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যসহ আমাদের অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে বাহরাইন আগ্রহী। বাহরাইনে বার্ষিক মানামা ডায়ালগে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মিনা সালমন বন্দরে যুক্তরাজ্য পরিকল্পনা করা ও সরঞ্জাম রাখার একটি স্থান পাবে এবং সেখানে চারটি যুদ্ধজাহাজ স্থাপনের সুযোগ পাবে।
নতুন নৌঘাঁটি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ব্রিটেনের দেড় কোটি পাউন্ড (২ কোটি ৩০ লাখ ডলার) ব্যয় হবে। সম্প্রতি চুক্তি সই হলেও গত এপ্রিল থেকেই এ ঘাঁটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন বলেন, নতুন ঘাঁটি হচ্ছে রাজকীয় নৌবাহিনীর পায়ের ছাপের সম্প্রসারণ এবং তা উপসাগরে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে আরো অধিক ও বৃহৎ যুদ্ধ জাহাজ প্রেরণে ব্রিটেনকে সক্ষম করবে।
তিনি আরো বলেন, তার দেশ এখন পুনরায় দীর্ঘমেয়াদে উপসাগরে অবস্থান করবে। এ ঘাঁটি আইএসআইএল বিরোধী অভিযানেও কাজে লাগানো হবে বলে ব্রিটিশ সরকার দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাহরাইনে আমেরিকার বিশাল নৌঘাঁটি রয়েছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪