ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র নির্মম জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির প্রতিবেদন প্রকাশ হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর)। এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিশ্বজুড়ে সকল মার্কিন দূতাবাসসহ স্থাপনায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সিআইএ’র জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতির বিষয়ে মোট ছয় হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন সংক্ষিপ্তাকারে ৪৮০ পৃষ্ঠায় প্রকাশ পাচ্ছে মঙ্গলবার।
তিনি জানান, প্রতিবেদন প্রকাশকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দূতাবাস-কনস্যুলেটসহ মার্কিন কার্যালয়গুলো।
বলা হচ্ছে, প্রতিবেদনটিতে ৯/১১ (টুইন টাওয়ারে হামলা) পরবর্তী সময়ে সন্দেহভাজন আল-কায়েদা সদস্য ও জঙ্গিদের সিআইএ কোথা থেকে আটক করে কোন গোপন বন্দিশালায় নিয়ে যেতো, কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতো এবং কীভাবে নির্যাতন করতো সে বিষয়ে তথ্য থাকবে। তথ্য থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সিআইএ’র গোপন বন্দিশালাগুলোতে কেমন বন্দি আছে সে বিষয়েও।
সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটি প্রণীত ছয় হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশের কথা বলা হলেও এর অনেক কিছুই এখন গোপন রাখা হচ্ছে বলে মনে করছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট খ্যাত জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসেবে অভ্যন্তরীণভাবে ‘সমর্পণ, আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ’ (রেনডিশন, ডিটেনশন ও ইন্টারোগেশন) নামে পরিচিত এই কার্যক্রম শুরু করে সিআইএ।
পরে বিভিন্নভাবে সিআইএ’র এই গোপন তৎপরতা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পরাক্রমশালী সংস্থাটির এই নিন্দিত প্রকল্প স্থগিত করে দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তবে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইক রজার্সসহ যুক্তরাষ্ট্র এর মিত্র দেশগুলোর কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪