ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ক্যাফেতে ১৬ ঘণ্টার জিম্মি নাটক পুলিশি অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এতে বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন ৩৮ বছর বয়সী সিডনির আইনজীবী ক্যাটরিনা ডসন ও ৩৪ বছর বয়সী ক্যাফের ম্যানেজার টরি জনসন।
সেলবোর্ন চেম্বার্স এর ব্যারিস্টার ক্যাটরিনা ডসন পল স্মিথের স্ত্রী। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে। তিন সন্তানেরই বয়স ১০ বছরের নিচে। ডসন সিডনি ইউনিভার্সিতে পড়াশোনা করেন।
আর টরি জনসন ছিলেন লিন্ডট্ চকোলেট নামের ওই ক্যাফের ম্যানেজার। জিম্মিদের বাঁচাতে অস্ত্র নিতে গিয়ে বন্দুকধারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তিনি নিহত হন। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে তিনি ক্যাফেতে কাজ করছেন।
সোমবার সকালে ইরানি বংশোদ্ভূত বন্দুকধারী ক্যাফেতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দোকানকর্মী ও ক্রেতাদের জিম্মি রাখে রাত অবধি। শ্বাসরুদ্ধকর ওই ঘটনা বিশ্বের প্রথম সারির সকল গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে। অবশেষে স্থানীয় সময় মধ্যরাতে পুলিশ ভারি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্যাফেতে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ নিহতদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এনএসডব্লিউ সরকারি ভবনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
বিবিসির খবরে বরা হয়, পুলিশ হামলাকারীর ‘মোটিভ’ তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে পুলিশি অভিযানেরও তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষ হয়ে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে।
ম্যান হারোন মনিস নামের বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। এসব মামলায় তিনি জামিনে ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় একাকী থাকতেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট জানান, হামলাকারী দীর্ঘদিন মৌলবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মানসিক সমস্যাও ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪