ঢাকা: হলিউডি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচার্সের কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাকিংয়ের ঘটনায় বেজায় চটেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হ্যাকিংয়ে অভিযুক্ত উত্তর কোরিয়াকে এখনই থামিয়ে দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা মোড়ল রাষ্ট্রটি।
যদিও এ ব্যাপারে পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান মিত্র বেইজিংয়ের তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউস সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, চীনকে তার মিত্র উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এই ধরনের আক্রমণ এখনই থামাতে বলা হয়েছে। নতুবা যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী যে পদক্ষেপ নেবে তা সামলানো যাবে না।
হ্যাকিংয়ে অভিযুক্ত পিয়ংইয়ংয়ের কড়া সমালোচনা করে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, আমি এটাকে (চলচ্চিত্রটি) ‘অ্যাক্ট অব ওয়ার’ মনে করি না। আমি মনে করি, এটা (সাইবার আক্রমণ) সাইবার-বর্বরতা যেটা অনেক অর্থ ধ্বংস করেছে। আমরা অনেক গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি বিষয়টিকে। এর যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনকে হত্যাচেষ্টার গল্প নিয়ে নির্মিত সনির ‘দ্য ইন্টারভিউ’ চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার সপ্তাহ কয়েক আগে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটলো। খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিনে (২৫ ডিসেম্বর) চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত পরিদফতর এফবিআই দাবি করে, নভেম্বরের ওই সাইবার হামলা উত্তর কোরিয়াই চালিয়েছে। এই হামলায় সনির অনেক স্ক্রিপ্টের বিবরণ ও ব্যক্তিগত ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্যাদি ফাঁস হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মুখপাত্র মার্ক স্ট্রোহ বলেন, উত্তর কোরিয়াই এ হামলার জন্য দায়ী। যদি তারা এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চায় তবে তাদের নিন্দনীয় কাজের স্বীকারোক্তি দিক এবং সনিকে ক্ষতিপূরণ দিক।
অবশ্য, এই সাইবার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার প্রশংসা করেছে উত্তর কোরিয়া। এই আক্রমণকে ‘উত্তর কোরিয়ার সমর্থকদের সৎকর্ম হতে পারে’ বলেও উল্লেখ করে পশ্চিমাবিরোধী রাষ্ট্রটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪