ঢাকা: আসামে বোড়ে (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ড) জঙ্গি হামলায় বহু আদিবাসী নিহত হলেও ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্য মুখ্যসচিবের। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও পরিবারের সঙ্গে ‘প্রমোদ’ ভ্রমণে ব্যস্ত তিনি।
অবশ্য এ জন্য বেশ সমালোচনার মুখেও পড়েছেন মুখ্যসচিব জিতেশ খোসলা।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বোড়ো জঙ্গি হামলায় ৬৫ আদিবাসী নিহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) শনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলি থানার সামনে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো ৫ আদিবাসী নিহত হন, আহত হন অনেকে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে না গিয়ে এ সময় তিনি (জিতেশ খোসলা) ব্যস্ত ছিলেন পরিবারে সঙ্গে ‘প্রমোদ’ ভ্রমণে। রাজ্যের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাতির পিঠে চড়ার ছবি তুলে আনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে হাতির পিঠে চড়ার ভিডিও ফলাও করে প্রচার হয়।
এ বিষয়ে সমালোচনা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গাগৈ বলেন, সরকারের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকতার এ ধরনের কাজ মোটেও শোভা পায়না। তার এখনই ফিরে আসা উচিত।
মঙ্গলবারের বর্বর হত্যাযজ্ঞের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গাগৈ কোকরাঝাড় জেলা পরিদর্শনে রাজ্যের মন্ত্রী নীলামানি সেন ডেকা ও বসন্ত দাসকে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে শনিতপুর জেলা পরিদর্শনের জন্য রকিবুল হুসাইন, তঙ্কা বাহাদুর রায় ও পৃথ্বি মাঝিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪