ঢাকা: নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাইদুগুরি দখলে হামলা চালিয়েছে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বোকো হারাম। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সদস্যসহ কয়েকডজন লোক নিহত হয়েছে।
রোববার (২৫ জানুয়ারি) মাইদুগুরি অভিমুখে যাত্রা করার আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আরেক শহর মনগুনো দখল করে নেয় বোকো হারাম।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সবশেষ তথ্যমতে জঙ্গিরা মাইদুগুরির চারপাশে অবস্থান নিয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটিও তাদের দখলে চলে যেতে পারে।
তারা শঙ্কাবোধ করে বলেন, যদি মাইদুগুরি বোকো হারামের কবলে চলে যায়, তবে নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের দিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির অগ্রযাত্রা অনেক বেশি গতিলাভ করবে।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সন্ত্রাসীরা যখন মাইদুগুরি অভিমুখে এগিয়ে আসছে ঠিক সে মুহূর্তে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে অস্থিতিশীল আফ্রিকান দেশটির ‘নতুন মান নির্ধারণে’ আগামী মাসে শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনের আহ্বান জানাতে তিনি দেশটিতে গেলেন।
এছাড়া, বোকো হারামের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত নাইজেরিয়ার প্রতি সংহতি জানাতেও কেরি আবুজায় গেলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো।
সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, শহরে ঢুকে পড়তে চাইলে জঙ্গিদের পদাতিক সেনা, বিমান বাহিনী প্রতিহত করে। তাদের সহযোগিতা করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশ্য, মাইদুগুরির উপকণ্ঠে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। কারফিউ জারি থাকা সে অঞ্চলে কয়েক ডজন সেনা সদস্য ও জঙ্গি নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, বোকো হারামের এ হামলায় মাইদুগুরির কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এর আগে, মাইদুগুরির ১৪০ কিলোমিটার উত্তরের শহর মনোগুনোয় হামলা চালিয়ে সেনা সদস্যদের ঘেরাও করে বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। তবে, মনোগুনো থেকে পালিয়ে বেঁচে যাওয়া সৈন্যরা এখন মাইদুগুরির সেনা ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে বোকো হারাম জঙ্গিদের প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সেনা কমান্ড।
পশ্চিমা শিক্ষাকে ‘নিষিদ্ধ’ করে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে বোকো হারাম। নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা এখন বোকো হারামেরই দখলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫