ঢাকা: চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ শরণার্থীর তালিকা করেছে জার্মানি। বছর শেষে তা এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ছাড়িয়ে যাবে।
সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শীতের তীব্রতা থাকলেও শরণার্থী প্রবেশের ঢল যেন কমছেই না। নভেম্বরেও সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬ হাজার ১০১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর তালিকা করেছে জার্মানি।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল চলতি বছরের আগস্টে বলেছিলেন, আমরা আশা করছি চলতি বছরে ৮ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশীর জািয়গা দিতে পারবো।
কিন্তু অক্টোবরে দেশটির সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে স্থানীয় পত্রিকা জানায়, অভিবাসন প্রত্যাশীর সংখ্যা সম্ভাব্য দেড় মিলিয়নে (১৫ লাখ) পৌঁছাবে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে জার্মানিতে অধিক সংখ্যক শরণার্থী নিবন্ধন করেছেন। এ সংখ্যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় এক শতাংশ।
তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা একেক দেশে একেক রকম। গত বছর হাঙ্গেরিতে এ হার ছিল ১০ শতাংশের কম।
জার্মানির ক্ষেত্রে ছিল ৪২ শতাংশ, আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল সুইডেনে ৭৭ শতাংশ।
সোমবার জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের বিভিন্ন সময় থেকে চলতি বছরের পাঁচ মাস আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন বেড়ে যায়।
এরমধ্যে পশ্চিম বলকান রাষ্ট্রগুলোকে নিরাপদ হিসেবে উল্লেখ করে অভিবাসনের আবেদন করেছেন সিরিয়ান শরণার্থীরা।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, ইউরোপ থেকে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেওয়া অভিবাসীর সংখ্যা নভেম্বরে ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। খারাপ আবহাওয়া ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তুর্কি সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে এ সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
ওই মাসে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ১ লাখ ৪০ লাখ অভিবাসী প্রবেশ করেছেন, অক্টোবরে এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২০ হাজার ৫৩৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
এমএ/