ওশ: কিরগিজ ও উজবেক জাতিগোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আক্রান্তদের সাহায্যে কিরগিজস্তানে মানবিক করিডোর স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্বসংস্থাটির আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিন প্যাসকো আজ মঙ্গলবার এ আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে তিনি উজবেকিস্তানে প্রবেশ করা শরণার্থীদের জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কিরগিজস্তান থেকে হাজার হাজার উজবেক পালিয়ে গেছে। আর সীমান্তে ১০ হাজার উজবেক শরণার্থী ভিড় করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিরগিজস্তানের ৫৫ লাখ মানষের ১৫ শতাংশ উজবেক জাতিগোষ্ঠীর।
গত শুক্রবার কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের ওশ ও জালালবাদ শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
কিরগিজস্তানের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ সহিংসতার জন্য উৎখাত হওয়া প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভের সমর্থকদের শুরু থেকেই দায়ী করে আসছিলেন। তবে বাকিয়েভ তা নাকচ করেন। তিনি এখন বেলারুশে নির্বাসনে আছেন।
সহিংসতার বিষয়টা নিয়ে লিন প্যাসকো নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুব দ্রুত সেখানে কিছু নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে’ জোরারোপ করা হয়েছে এ আলোচনায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজবেকিস্তানকে যথেষ্ট সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি যাতে সেখানে অতিরিক্ত শরাণার্থী গেলেও দেশটি চিন্তামুক্ত থাকতে পারে। ’
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে উজবেকিস্তান। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এরই মধ্যে দেশটিতে ৮০ হাজার শরণার্থী প্রবেশ করেছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস সমিতির কর্মকর্তা পাসকাল মিইগে ওয়াগনার বলেন, মৃতের সংখ্যা কম করে দেখানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ওশ ও জালালাবাদ শহর থেকে অনেক মৃতদেহ উদ্ধারই করা হয়নি। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১০
এনজে/আরআর/জেএম