পিয়ংইয়ং: দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবির ঘটনায় জাতিসংঘ অভিযুক্ত উত্তর কোরিয়াকে তিরস্কার করলে তার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসি’র।
বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক সিন সন-হো। তিনি দাবি করেন, চেওনান ডুবির ঘটনা তদন্ত করতে পিয়ংইয়ং এর একটি দলকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানোর অনুমতি দিতে হবে।
জাতিসংঘের কাছে পৃথক শুনানিতে দুই কোরিয়ার প্রতিনিধিরা নিজ নিজ বিবৃতি দেওয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিকে, তার মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক আচরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি জানান, ‘আমরা লক্ষ্য রাখছি, যুদ্ধোন্মুখ তৎপরতা বন্ধে উত্তর কোরিয়া তার অগ্রহণযোগ্য আচরণের পরিবর্তন করছে কিনা’।
জাতিসংঘের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়াকড়ি পদক্ষেপ আশা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে, যুদ্ধজাহাজ ডুবির ঘটনায় জাতিসংঘ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এ পর্যন্ত কাউকে অভিযোগ করে কিছু বলেনি সংস্থাটি।
ওদিকে, সিন সন-হো বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ এ পর্যন্ত কাহিনীটার (জাহাজডুবির ঘটনা) একটি দিকই জানে। কারণ, উত্তর কোরিয়া এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য সিউলে প্রবেশ করতে চায়লে তা নাকচ করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দোষী করে বা আমাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতিসংঘ যদি কোনো দলিলপত্র প্রকাশ করে, তাহলে একজন কূটনীতিক হিসেবে আমি কিছুই করতে পারবো না। এরপরের পদক্ষেপ আমাদের সেনাবাহিনীর মাধ্যমেই নেওয়া হবে। ’
বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, কী করতে হবে এ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। চীনও তার মিত্র পিয়ংইয়ং এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না।
উল্লেখ্য, গত মার্চে যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবির ঘটনায় ৪৬ জন নাবিক নিহত হন। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে আসছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক তদন্তেও অভিযুক্ত প্রমাণিত হয় উত্তর কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়া বরাবরই এই অভিযোগ নাকচ করে আসছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১০
এনজে/আরআর