বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্সের পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন, তিনি নিশ্চিত যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই ডেমোক্রেটিক পার্টির ই-মেইল হ্যাক করা হয়েছে। আর এই হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হিলারি ক্লিনটনের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পকে।
জবাবে তৎক্ষণাৎ এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার হ্যাকিং নিয়ে তারা কিভাবে এতোটা আত্মবিশ্বাসী, এমনকি ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) কম্পিউটার সার্ভার নিরীক্ষার কোনো অনুরোধ না করেও?”
ট্রাম্পের এই টুইটারের জবাবে বৃহস্পতিবার রাতেই পিবিএস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, “একজন প্রেসিডেন্টের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস না থাকা, এ ধরনের শত গোয়েন্দা সংস্থার কথা শোনার প্রস্তুতি না থাকা একেবারেই নির্বোধের মতো। ”
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে বাইডেন বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চেয়েও বেশি জানার ধারণাটা এমন, আমি আমার অধ্যাপকের চেয়েও পদার্থবিদ্যা বেশি জানি। আমি বই পড়িনি, কিন্তু অনেক অনেক জানি!”
টুইটারে ট্রাম্পের বারবার আক্রমণের জবাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “বড় হও ডোনাল্ড, বড় হও, এখন প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করার সময়, তুমি এখন একজন প্রেসিডেন্ট। ”
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপেই ফল নির্ধারণ হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ট্রাম্প। টুইটারে গোয়েন্দাদের আক্রমণ করার পর এখন সংবাদ সম্মেলনে তিনি কী বলেন তা-ই শুনতে অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
আরআর/এইচএ/
আরও পড়ুন
** পুতিনের হস্তক্ষেপেই ট্রাম্পের জয়, দৃঢ় অবস্থানে গোয়েন্দা প্রধান