ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী হতে সাহায্য করাই ছিলো তার নির্দেশের মূল লক্ষ্য।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শনিবার (৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানায়।
এর আগে মার্কিন কেন্দ্রীয় সংস্থা সিআইএ’র প্রতিবেদনে একই তথ্য উঠে আসলে পুতিন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এবারও তিনি তাই করেছেন।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, পুতিন সমর্থিত নির্বাচনী ক্যাম্পেইন হিলারি ক্লিনটন, তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের চেয়ারম্যান জন পডেস্টাসহ অন্য ডেমোক্র্যাটদের ই-ইমেইল হ্যাকিং করে উইকিলিকস এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রভাবিত করার বিষয়টি আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। রাশিয়ার উদ্দেশ্য ছিলো ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস নষ্ট করা এবং হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সক্ষমতাকে কলঙ্কিত করা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিন ও রুশ সরকারের মধ্যে অতিমাত্রায় সম্পর্ক সেটা আবারও প্রমাণ করে।
এদিকে, আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পদে স্থলাভিষিক্ত হবেন। তার আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন প্রতিবেদন ট্রাম্পের জন্য বিব্রতকরই বটে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭/আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা
টিআই