উদ্ধার অভিযানে কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম জলসীমার এক লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে পরিচালিত অভিযানে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। তাই ১৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও সব ধরনের চেষ্টার পরও অভিযানে এমএই৭৩০৭ রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। যদিও ‘ব্যর্থ’ অভিযানটি আমাদের জন্য দুঃখের ও হতাশার।
এদিকে প্লেনটির সন্ধানে সক্ষম এমন কোনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ব্যক্তিগত ড্রোন অভিযানের পরিকল্পনা করার কথা বলা হচ্ছে।
প্লেনটি নিখোঁজের পর বেশ কয়েকবার এর উদ্ধার অভিযানের এলাকাও পরিবর্তন করা হয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন প্লেনটি আসলে কোন অতলে হারিয়েছে? এটি কী দক্ষিণ গোলার্ধের কোথাও রয়েছে?
২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি। এতে ২৩৯ জন আরোহী ছিলেন।
ওই ঘটনার পর প্লেনটির সন্ধানে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপে প্লেনের একটি দরজা পাওয়া যায়। দরজাটি একটি বোয়িংয়ের হওয়ায় এমএইচ৩৭০ নিয়ে রহস্য আরো ঘণীভূত হয়। এরপর ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অন্তত ২০টি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। তবে সেগুলো কোন ফ্লাইটের সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসবের মধ্যেও এমএইচ৩৭০’র সন্ধান অব্যাহত রাখে কর্তৃপক্ষ। তবে এসব কর্মকাণ্ডের ইতি না টেনেই পুরো বিশ্বকে অন্ধকারে রেখে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে সমুদ্রের তলদেশে প্লেনটির অনসন্ধান অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
জেডএস