শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিশ্বের দুই ক্ষমতাধর নেতার মধ্যে এই আলাপ হয়। সপ্তাহখানেক আগেই হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেন ট্রাম্প।
ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইতিবাচক ফোনালাপ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ শুরু। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পুতিন আজকের ফোনালাপে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, উভয়পক্ষ শিগগির সন্ত্রাস মোকাবেলা ও অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মীমাংসায় এগোতে পারবেন। ”
মস্কো থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার আলাপের ইঙ্গিত নিয়ে কথা হলেও অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস বা ক্রেমলিন।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা শিবিরের কম্পিউটার সার্ভার হ্যাকিংয়ে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। হিলারি ও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পাশাপাশি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তরফ থেকেও বলা হয়, রাশিয়া যে সাইবার হামলা চালিয়ে নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব রেখেছে তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
কিন্তু ট্রাম্প সবসময়ই বলে আসছেন, এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তি নেই। রাশিয়াকে শত্রু ভাবার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এমনকি তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নে তার আগ্রহের কথাও জানিয়ে আসছেন।
এরমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ও জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ ওয়াশিংটনের পশ্চিমা মিত্ররা ট্রাম্পকে ‘পুতিন-প্রীতি’ দেখানোর বিষয়ে সতর্কতা দিতে থাকেন।
কিন্তু সব উপেক্ষা করেই ট্রাম্প শনিবার পুতিনের সঙ্গে খোশমেজাজে ফোনালাপ করেন। তিনি সেখানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় দু’পক্ষের এক হয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইউরোপীয় মিত্রদের সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি ইঙ্গিত দেন মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও।
পুতিনের পাশাপাশি ট্রাম্প ফোনালাপ করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঁসোয়া ওঁলাদ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবালের সঙ্গেও। তাদের সঙ্গে আলাপেও ট্রাম্প সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এইচএ/